প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছর অনুযায়ী সরকার এ বছরও কর মওকুফ সীমা অপরিবতির্ত রেখেছে। গত ১৩ ই জুন জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছর পেশ করেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরকার বর্তমান এই কর মওকুফ সীমা যদি কোন পরিবর্তন করেন তাহলে উভয় দিকেই সমস্যার তৈরী হবে। যা দেশের বর্তমান কর ব্যবস্থার জন্য মোটেও সুখকর হবে না। অর্থাৎ সরকার যদি বর্তমান কর মওকুফ সীমা সামান্য তম কমিয়ে আনেন তাহলে সাধারন জনগনের উপর এই করের বোঝা হবে মারাত্বক পীড়াদায়ক। আবার অন্যদিকে যদি এই কর মওকুফ সীমা সামান্যতম বাড়িয়ে দেন তাহলে বিপুল পরিমান করদাতা কর আওতার বাইরে চলে যাবেন। যাতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাতে পারে। যেহেতু বিগত কয়েক বছর ধরে জনগন বর্তমান এই কর মওকুফ সীমাতে অভ্যস্ত তাই উভয়দিক বিবেচনা করে ব্যাক্তি শ্রেনীর করদাতাদের কর মওকুফ সীমা অপরিবতির্ত রাখা হয়েছে।অন্যদিকে কোম্পানীর ক্ষেত্রেও লাভের উপর করের হারকে বাজেট ২০১৯-২০ এ অপরিবতির্ত রাখা হয়েছে।
কর মওকুফ সীমার অর্থঃ
কর মওকুফ সীমার অর্থ হলো কোন ব্যাক্তি তার আয় বৎসরে অর্থাৎ ১ লা জুলাই থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত পুরো ১ বৎসরে তার মোট আয় যদি কর মওকুফ সীমার নিচে হয় তাহলে তাকে সরকারকে কোন প্রকার কর প্রদান করতে হবে না। যেমনঃ সাধারন করদাতাদের জন্য সরকার কর মওকুফ সীমা নির্ধারন করেছে ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোন ব্যাক্তি যদি ২০১৮ সালের ১ লা জুলাই থেকে ৩০ শে জুন ২০১৯ পর্যন্ত এই ১ বৎসরে সর্বমোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বা তার কম আয় করেন তাহলে তাকে আর কোন কর দিতে হবে না। কিন্তু তিনি যদি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় করেন তাহলে তাকে কর দিতে হবে।
ব্যাক্তি শ্রেনীর কর মওকুফ সীমা কোম্পানি ব্যাতিতঃ প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০
১. সাধারন করদাতা= ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা
২. নারী এবং সিনিয়র সিটিজেন (৬৫ বৎসরের উপরে)= ৩ লক্ষ টাকা
৩. শারীরীক ভাবে অক্ষম ব্যাক্তি= ৪ লক্ষ টাকা
৪. গেজেট ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে= ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা
ব্যাক্তি শ্রেনীর করের হার কোম্পানি ব্যাতিতঃ প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০
১. প্রথম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত= শুন্য (কোন কর নেই)
২. পরের ৪ লাখ পর্যন্ত= ১০ %
৩. পরের ৫ লাখ পর্যন্ত= ১৫%
৪. পরের ৬ লাখ পর্যন্ত= ২০%
৫. পরের ৩০ লাখ পর্যন্ত= ২৫%
৬. পরের ৩০ লাখের উপরে=যা অবশিষ্ঠ থাকবে তার উপর ৩০% হারে কর প্রযোজ্য হবে।
ব্যাক্তি শ্রেনীর ক্ষেত্রে বিশেষ করের হার কোম্পানি ব্যাতিতঃ প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৯-২০
১. বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল এবং যে কোন তামাক জাতীয় পন্য প্রস্তুতকারীদের ক্ষেত্রেঃ ৪৫% হারে কর প্রযোজ্য হবে।
২. অনাবাসিদের আয় এর ক্ষেত্রে = ৩০% হারে কর প্রযোজ্য।
৩. কো অপারেটিভ সোসাইটির আয়ের ক্ষেত্রে= ১৫% হারে কর প্রযোজ্য।
ব্যাক্তি শ্রেনীর কর মওকুফ সীমা কোম্পানি ব্যাতিতঃ ২০১৮-১৯ অর্থ বছর
১-৪ সবক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত
ব্যাক্তি শ্রেনীর করের হার কোম্পানি ব্যাতিতঃ ২০১৮-১৯ অর্থ বছর
১-৬ সবক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত
ব্যাক্তি শ্রেনীর ক্ষেত্রে বিশেষ করের হার কোম্পানি ব্যাতিতঃ ২০১৮-১৯ অর্থ বছর
১-৩ সবক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত